দৈনিক প্রত্যয় ডেস্ক:এই প্রথম বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে বন্ধ দক্ষিণেশ্বর মন্দির। মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতেই এই সিদ্ধান্ত মন্দির কর্তৃপক্ষের। রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশে মন্দিরের বাইরের গেটে তালা ঝুলছে। দেখা নেই ভক্তদের। শুনশান মন্দির চত্বরের রাস্তাঘাট। পয়লা বৈশাখে ফাঁকা মন্দির প্রাঙ্গণ।
ফি বছর বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে তিল ধারণের জায়গা থাকে না দক্ষিণেশ্বর ভবতারিণীর মন্দিরে। মন্দিরে পুজো দিতে ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়ে গমগম করে মন্দির চত্বর। ভক্তদের প্রবল উদ্দীপনা ও উৎসাহ সামাল দিতে হিমশি দশা হয় মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের। দম ফেলার ফুরসত থাকে না পুরোহিতদেরও। একইসঙ্গে মন্দির চত্বরের বাইরে থাকা দোকানগুলিতেও দিনভর চলে বেচা-কেনা।
ভয়াল করোনা এক লহমায় ভেঙে তছনছ করে দিল সব কিছু। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের স্মৃতিবিজড়িত রানি রাসমণির সাধের দক্ষিণেশ্বরের মন্দির তৈরি হয় ১৮৫৫ সালে। দীর্ঘ সময় ধরেই বাংলা বছরের প্রথম দিনে ব্যবসায়ীরা খাতা পুজো করতে ভিড় জমান দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী কালী মন্দিরে।
বাংলা নববর্ষের দিন দেশের নানা প্রান্ত থেকেও ব্যবসায়ীরা এসে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতেন। এরই পাশাপাশি অন্য ভক্তরাও গোটা বছরের জন্য পরিবারের কল্যাণ কামনায় পুজো দিতে আসতেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের দাপটে এবছর দক্ষিণেশ্বরের মন্দির একেবারে জনশূন্য। ধু ধু করছে মন্দির চত্বর। হাতে গোনা দুই-একজন এলেও তাঁরা ঢুকতে পারলেন না মন্দির চত্বরে।
মন্দিরের গেটে ফুলের মালা ঝুলিয়েই প্রার্থনা জানালেন মা ভবতারিনীর কাছে। মন্দির কমিটিও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতেই অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ থাকবে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির ।